“নিজের বউ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?” শুনুন একজন পরকীয়াকারীর মুখ থেকেই…..
দিন দিন পরকীয়ার হার যে বাড়ছে পেপার পত্রিকা দেখলেই তা বোঝা যায়। অনেকের মধ্যে আবার এরকম ধারণাও প্রচলিত আছে যে- “মাছের রাজা ইলিশ, আর প্রেমের রাজা ইটিশ পিটিশ”। যাহোক, ফেইসবুকে এক লোকের একটা নোট পড়লাম। কেন জানি মনটাকে স্পর্শ করে গেল নোটটা। নোটটা পড়ে আসতে পারেন এখান থেকে ।
সম্ভব হলে মূল নোটটা পড়ে আসুন। অনেক সুন্দর করে লেখা সেটা। যারা ইংরেজী লেখা একদমই পড়তে চাননা তাদের জন্য কাহিনীসংক্ষেপ দিলাম বাংলায়।
বাংলায় কাহিনীসংক্ষেপঃ
হঠাৎ একদিন ডিনারে তিনি তার বউকে বলে বসে আমি তোমার থেকে মুক্তি চাই। তার বউ কান্না আরম্ভ করে। রাতের বেলা তাদের ভেতর আর কোন কথাই হয়নি।
পরের দিন সে তার বউকে ডিভোর্স পেপারের ড্রাফট দেখায়, তার বাড়ি আর কিছু সম্পত্তি লিখে দেবে সেটা জানায়। তখন তার বউ তাকে একটা শর্ত দেয়।
তিনি ডিভোর্সটা ১ মাস পরে নিতে চান। কারণ এই সময় তাদের ছেলের পরীক্ষা চলছিল। তিনি চাননি পরীক্ষার ভেতর তার ছেলেকে এই কষ্ট বহন করতে হোক।
তাদের বাসর রাতে তার স্বামী তাকে কোলে করে নিয়ে বাসরঘরে ঢুকেছিলেন। এই একমাসের প্রতিদিনই সে তাকে কোলে করে বাইরে নিয়ে আসবেন- বউ তাকে এই অনুরোধ করেন।
এটা মেনে চলা তার জন্য খুব কঠিন কিছু ছিলনা, কারণ ডিভোর্স তো হচ্ছেই।
যেহেতু ডিভোর্সের সিদ্ধান্তটা প্রায় চুড়ান্ত ছিল তাই এই সময় তারা কোন শারিরীক সম্পর্কে যাননি এবং বেশ ঢিলেঢালাভাবেই তাকে কোলে নিয়ে বের হয়ে আসেন। তাদের ছেলে হাততালি দিয়ে বলেন, “আব্বু আম্মুকে কোলে নিয়ে আসছে”। ব্যাপারটা তাকে বেশ আঘাত করে। বেডরুমি, সিটিং রুম থেকে দরজা পর্যন্ত প্রায় ১০ মিটার তিনি তাকে কোলে করে নিয়ে যান। বউ নরম স্বরে চোখ বন্ধ করে বলেন, “প্লিজ, ছেলেকে আমাদের ডিভোর্সের কথা বলোনা”।
দ্বিতীয়দিন তারা প্রায় সহজভাবেই কাজটা করেন। লোকটি অনুভব করেন যে অনেকদিন তিনি তার বউকে কাছ থেকে ভালভাবে দেখেননি। তার বউ প্রায় বুড়ি হয়ে গেছে।
চতুর্থ দিনে তিনি লক্ষ্য করেন তাদের মধ্যে যেন অন্তরঙ্গতা ফিরে আসছে। এই সেই মেয়ে যে তার জীবনের ১০ টি বছর তাকে দিয়েছে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে তিনি তাদের অন্তরঙ্গতা আরও বাড়তে থাকে, কিন্তু তিনি তার বউকে ব্যাপারটা জানাননি। তিনি সহজভাবেই তার বউকে কোলে তুলে নিতে পারছেন।
পরের দিন তার বউ ড্রেস পছন্দ করতে গিয়ে দেখেন তার সবগুলো জামাকাপড়ই বড় হয়ে গেছে, তার মানে তিনি অনেক পাতলা হয়ে গেছেন।
তখনই তাদের ছেলে ছুটে আসেন আর তার আব্বুকে বলেন, “আব্বু এখন আম্মুকে কোলে করে বাইরে নিয়ে যাবার সময়”। তার কাছে এই দৃশ্যটা দেখা যেন তার জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। তার বউ তার ছেলের কাছে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। লোকটি হয়তো নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন ভেবে ভয় পান। এরপর বউকে কোলে নিয়ে বেডরুম থেকে শুরু করে সিটিং রুম হয়ে দরজা পর্যন্ত নিয়ে যান।
বউয়ের ওজন অনেক কমে যাওয়াটা তাকে দুঃখ দেয়। শেষদিন তাদের ছেলে স্কুলে ছিল। লোকটি তার বউকে জড়িয়ে ধরে বলে, “আমাদের ভেতর অন্তরঙ্গতার অভাব ছিল”।
এরপর তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে অফিসে চলে যান। হয়তো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন এটা ভেবে তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। সিড়ি বেয়ে উপরে উঠেন তিনি। তারপর তার গার্লফ্রেন্ডকে জানান, “দুঃখিত জেন, আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিতে পারবোনা। আমাদের বিবাহিত জীবন বোরিং ছিল কারণ আমরা আমাদের জীবনের আনুষাঙ্গীক বিষয়গুলোকে মূল্য দিইনি, এজন্য নয় যে আমরা একজন আরেকজনকে ভালবাসতামনা। আমি এখন অনুভব করতে পারছি যে, বিয়ের দিন যেভাবে আমি তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম ঠিক সেভাবেই তাকে মৃত্যু পর্যন্ত ধারণ করা উচিত ছিল।”
ফলাফল গার্লফ্রেন্ডের কাছে এক থাপ্পড়।
এরপর তিনি ফুলের দোকানে গিয়ে বউয়ের জন্য ফুল কেনেন। তাতে কি লেখা থাকবে সেলগার্ল তা জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দেন “I’ll carry you out every morning until death do us apart. “
সন্ধ্যাবেলায় তিনি স্মিতহাস্যে, ফুলহাতে সিড়ি বেয়ে যখন বাসায় পৌছান ততক্ষনে তার বউ মৃত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছে।
তার বউ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল, এবং তিনি এতই ব্যস্ত ছিলেন যে ব্যাপারটা লক্ষ্যই করেননি। বউ জানতো যে তিনি শীঘ্রই মারা যাবেন, কিন্তু ডিভোর্সের নেগেটিভ ইফেক্ট থেকে তাদের ছেলেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। এখন অন্তত তাদের সন্তানের দৃষ্টিতে তিনি একজন প্রেমময় স্বামী।
আসল সত্য এই যে আসল বিষয় হচ্ছে সম্পর্ক। বাড়ি, কার, সম্পত্তি, ব্যাংকের টাকা পয়সা কিছুই না। এগুলো এমন সব উপাদান যা সুখ আনতে সহায়তা করে, কিন্তু এগুলোই সুখ নয়। কাজেই আপনার বউকে বন্ধু বানানোর জন্য ক্ষুদ্র সময়টুকু বের করে ফেলুন এবং সেই ক্ষুদ্র কাজটুকুই করুন যা আপনাদের ভেতর অন্তরঙ্গতা নিয়ে আসে।
সত্যিকারের বিয়েটা ধারণ করুন।
আপনি যদি এই লেখাটা শেয়ার না করেন, তাহলে কিছুই হবেনা। যদি করেন হয়তোবা একটা বিয়ে টিকেও যেতে পারে।
কোন কাজ ত্যাগ করার সময় অনেক লোকই বুঝতে পারেনা তারা সাফল্যের কতটা কাছাকাছি ছিল!
সম্ভব হলে মূল নোটটা পড়ে আসুন। অনেক সুন্দর করে লেখা সেটা। যারা ইংরেজী লেখা একদমই পড়তে চাননা তাদের জন্য কাহিনীসংক্ষেপ দিলাম বাংলায়।
বাংলায় কাহিনীসংক্ষেপঃ
হঠাৎ একদিন ডিনারে তিনি তার বউকে বলে বসে আমি তোমার থেকে মুক্তি চাই। তার বউ কান্না আরম্ভ করে। রাতের বেলা তাদের ভেতর আর কোন কথাই হয়নি।
পরের দিন সে তার বউকে ডিভোর্স পেপারের ড্রাফট দেখায়, তার বাড়ি আর কিছু সম্পত্তি লিখে দেবে সেটা জানায়। তখন তার বউ তাকে একটা শর্ত দেয়।
তিনি ডিভোর্সটা ১ মাস পরে নিতে চান। কারণ এই সময় তাদের ছেলের পরীক্ষা চলছিল। তিনি চাননি পরীক্ষার ভেতর তার ছেলেকে এই কষ্ট বহন করতে হোক।
তাদের বাসর রাতে তার স্বামী তাকে কোলে করে নিয়ে বাসরঘরে ঢুকেছিলেন। এই একমাসের প্রতিদিনই সে তাকে কোলে করে বাইরে নিয়ে আসবেন- বউ তাকে এই অনুরোধ করেন।
এটা মেনে চলা তার জন্য খুব কঠিন কিছু ছিলনা, কারণ ডিভোর্স তো হচ্ছেই।
যেহেতু ডিভোর্সের সিদ্ধান্তটা প্রায় চুড়ান্ত ছিল তাই এই সময় তারা কোন শারিরীক সম্পর্কে যাননি এবং বেশ ঢিলেঢালাভাবেই তাকে কোলে নিয়ে বের হয়ে আসেন। তাদের ছেলে হাততালি দিয়ে বলেন, “আব্বু আম্মুকে কোলে নিয়ে আসছে”। ব্যাপারটা তাকে বেশ আঘাত করে। বেডরুমি, সিটিং রুম থেকে দরজা পর্যন্ত প্রায় ১০ মিটার তিনি তাকে কোলে করে নিয়ে যান। বউ নরম স্বরে চোখ বন্ধ করে বলেন, “প্লিজ, ছেলেকে আমাদের ডিভোর্সের কথা বলোনা”।
দ্বিতীয়দিন তারা প্রায় সহজভাবেই কাজটা করেন। লোকটি অনুভব করেন যে অনেকদিন তিনি তার বউকে কাছ থেকে ভালভাবে দেখেননি। তার বউ প্রায় বুড়ি হয়ে গেছে।
চতুর্থ দিনে তিনি লক্ষ্য করেন তাদের মধ্যে যেন অন্তরঙ্গতা ফিরে আসছে। এই সেই মেয়ে যে তার জীবনের ১০ টি বছর তাকে দিয়েছে।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে তিনি তাদের অন্তরঙ্গতা আরও বাড়তে থাকে, কিন্তু তিনি তার বউকে ব্যাপারটা জানাননি। তিনি সহজভাবেই তার বউকে কোলে তুলে নিতে পারছেন।
পরের দিন তার বউ ড্রেস পছন্দ করতে গিয়ে দেখেন তার সবগুলো জামাকাপড়ই বড় হয়ে গেছে, তার মানে তিনি অনেক পাতলা হয়ে গেছেন।
তখনই তাদের ছেলে ছুটে আসেন আর তার আব্বুকে বলেন, “আব্বু এখন আম্মুকে কোলে করে বাইরে নিয়ে যাবার সময়”। তার কাছে এই দৃশ্যটা দেখা যেন তার জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। তার বউ তার ছেলের কাছে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। লোকটি হয়তো নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন ভেবে ভয় পান। এরপর বউকে কোলে নিয়ে বেডরুম থেকে শুরু করে সিটিং রুম হয়ে দরজা পর্যন্ত নিয়ে যান।
বউয়ের ওজন অনেক কমে যাওয়াটা তাকে দুঃখ দেয়। শেষদিন তাদের ছেলে স্কুলে ছিল। লোকটি তার বউকে জড়িয়ে ধরে বলে, “আমাদের ভেতর অন্তরঙ্গতার অভাব ছিল”।
এরপর তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে অফিসে চলে যান। হয়তো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন এটা ভেবে তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। সিড়ি বেয়ে উপরে উঠেন তিনি। তারপর তার গার্লফ্রেন্ডকে জানান, “দুঃখিত জেন, আমি আমার বউকে ডিভোর্স দিতে পারবোনা। আমাদের বিবাহিত জীবন বোরিং ছিল কারণ আমরা আমাদের জীবনের আনুষাঙ্গীক বিষয়গুলোকে মূল্য দিইনি, এজন্য নয় যে আমরা একজন আরেকজনকে ভালবাসতামনা। আমি এখন অনুভব করতে পারছি যে, বিয়ের দিন যেভাবে আমি তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম ঠিক সেভাবেই তাকে মৃত্যু পর্যন্ত ধারণ করা উচিত ছিল।”
ফলাফল গার্লফ্রেন্ডের কাছে এক থাপ্পড়।
এরপর তিনি ফুলের দোকানে গিয়ে বউয়ের জন্য ফুল কেনেন। তাতে কি লেখা থাকবে সেলগার্ল তা জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দেন “I’ll carry you out every morning until death do us apart. “
সন্ধ্যাবেলায় তিনি স্মিতহাস্যে, ফুলহাতে সিড়ি বেয়ে যখন বাসায় পৌছান ততক্ষনে তার বউ মৃত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছে।
তার বউ ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল, এবং তিনি এতই ব্যস্ত ছিলেন যে ব্যাপারটা লক্ষ্যই করেননি। বউ জানতো যে তিনি শীঘ্রই মারা যাবেন, কিন্তু ডিভোর্সের নেগেটিভ ইফেক্ট থেকে তাদের ছেলেকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। এখন অন্তত তাদের সন্তানের দৃষ্টিতে তিনি একজন প্রেমময় স্বামী।
আসল সত্য এই যে আসল বিষয় হচ্ছে সম্পর্ক। বাড়ি, কার, সম্পত্তি, ব্যাংকের টাকা পয়সা কিছুই না। এগুলো এমন সব উপাদান যা সুখ আনতে সহায়তা করে, কিন্তু এগুলোই সুখ নয়। কাজেই আপনার বউকে বন্ধু বানানোর জন্য ক্ষুদ্র সময়টুকু বের করে ফেলুন এবং সেই ক্ষুদ্র কাজটুকুই করুন যা আপনাদের ভেতর অন্তরঙ্গতা নিয়ে আসে।
সত্যিকারের বিয়েটা ধারণ করুন।
আপনি যদি এই লেখাটা শেয়ার না করেন, তাহলে কিছুই হবেনা। যদি করেন হয়তোবা একটা বিয়ে টিকেও যেতে পারে।
কোন কাজ ত্যাগ করার সময় অনেক লোকই বুঝতে পারেনা তারা সাফল্যের কতটা কাছাকাছি ছিল!
0 comments:
Post a Comment