আসসালামুয়ালাইকুম , সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । বিশেষ করে ভাইদের পড়ার জন্য বিশেষ অনুরধ রইলো ।
ভাই আমার !
একদিকে আপনি মুসলিম হিসাবে জন্ম গ্রহন করায় জান্নাত চাইতেছেন অন্যদিকে টি শার্টের একপাশে 'চে' এর ছবি এবং অন্য পাশে কোন 'রক' স্টারের ছবি বহন করে তাদের অনুকরন করার জন্য চেষ্টারত আছেন । সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ১ ওয়াক্ত ১ বার জামায়াত বদ্ধভাবে ২ রাকাত নামাজ পড়ার জন্য আয়রন করা পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে যাওয়া হয় , তাও আবার পুরো সপ্তাহে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা করে মসজিদকে আড্ডার স্থান না বানালে চলেই না । ব্যস , কাজ শেষ ! এইবার বাকী ছয়দিন খাও,ঘুমাও এবং মাস্তি কর ।
খুব খারাপ লাগে যখন কোন ভাইকে দেখা যায় , জাহান্নামের যাওয়ার কারন ‘টাখনুর নীচে’ এমনভাবে প্যান্ট পড়তে যেন কোমর ধরে পিছন দিক থেকে উনার প্যান্ট টা কেউ একজন জোর করে টেনে নামিয়ে দিচ্ছে। তদ্রুপ একজন মুসলিম ভাই কতোটা বিকৃত মস্তিষ্কের স্বরূপ হলে মেয়েদের মত 'কানে দুল' পড়তে পারে । একটু চিন্তা করে দেখুন পুরুষ জাতির জন্য তা কতোটা লজ্জাজনক ! ব্যাপারটা এমন , জন্মগত ভাবে মুসলিম কিন্তু চলাফেরা করি ইহুদী-খ্রিষ্টানদের কালচারে । ভাই আপনি-ই নিজে বিচার করুন , আপনার বর্তমান অবস্থান কোথায় ??
লজ্জা নারীর ভূষণ ;তার মানে এই নয় যে নির্লজ্জতা পুরুষের অহংকার । পুরুষের জন্যও লজ্জা ঈমানের অঙ্গ । রাস্তায় হাঁটার সময় 'বিল বোর্ডে' বেপর্দা ছবির দিকে তাকানো টাও লজ্জা! আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, 'রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পর্দানশীল কুমারী মেয়েদের চেয়েও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন' (বুখারী হা/৩৫৬২,রিয়াযুছ ছালেহীন) । আমরা সেই রাসুল(সঃ) এর উম্মত হয়ে লজ্জাকে বরফ গলানোর মত করে আস্তে আস্তে বিসর্জন দিচ্ছি ।
যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের জীবনে রাসুল(সঃ) এর আদর্শ জাগিয়ে তুলতে পারব না , ততদিন পর্যন্ত আমরা জান্নাত কেন্দ্রিক জীবন পরিচালনা করতে পারব না । আর জান্নাত কেন্দ্রিক জীবন না হলে নিঃসন্দেহে 'জাহান্নাম'-ই আমাদের একমাত্র অবধারিত স্থান । আল্লাহ কুরানে বলেন ,
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।“ (আল-ইমরান:৩১)
আর যারা রাসুল(সঃ) এর আদর্শ অনুস্মরণ না করে আখেরাত বিমুখী পার্থিব আদর্শকে প্রাধান্য দেই , তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন ,
“যে ব্যক্তি পার্থিব জীবন ও এর চাকচিক্য কামনা করে আমি তাদেরকে দুনিয়াতেই তাদের আমলের পূর্ণ প্রতিফল প্রদান করি এবং এখানে তাদেরকে কম দেয়া হবে না। এদেরই জন্য আখেরাতে অগ্নি ব্যতীত অন্য কিছুই নাই এবং তারা এখানে যা করে, আখেরাতে তা নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর তারা যে সব কাজ-কর্ম করে সবই নিরর্থক। [সূরা হুদ, ১৫-১৬ ]
আল্লাহ আমাদের বুঝার তওফিক দান করুন এবং আমাকে , আমাদের ক্ষমাপ্রাপ্তদের সাথে অন্তর্ভুক্ত করে সিরাতা’য়াল মুস্তাকিম দান করুন। আমিন।
0 comments:
Post a Comment