TOP NEWS

Showing posts with label Islamic dawah. Show all posts

Tuesday, December 4, 2012

আসসালামুয়ালাইকুম , সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । বিশেষ করে ভাইদের পড়ার জন্য বিশেষ অনুরধ রইলো ।


ভাই আমার ! 
একদিকে আপনি মুসলিম হিসাবে জন্ম গ্রহন করায় জান্নাত চাইতেছেন অন্যদিকে টি শার্টের একপাশে 'চে' এর ছবি এবং অন্য পাশে কোন 'রক' স্টারের ছবি বহন করে তাদের অনুকরন করার জন্য চেষ্টারত আছেন । সপ্তাহে মাত্র ১ দিন ১ ওয়াক্ত ১ বার জামায়াত বদ্ধভাবে ২ রাকাত নামাজ পড়ার জন্য আয়রন করা পাঞ্জাবি পড়ে মসজিদে যাওয়া হয় , তাও আবার পুরো সপ্তাহে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে সামগ্রিক আলোচনা করে মসজিদকে আড্ডার স্থান না বানালে চলেই না । ব্যস , কাজ শেষ ! এইবার বাকী ছয়দিন খাও,ঘুমাও এবং মাস্তি কর ।

খুব খারাপ লাগে যখন কোন ভাইকে দেখা যায় , জাহান্নামের যাওয়ার কারন ‘টাখনুর নীচে’ এমনভাবে প্যান্ট পড়তে যেন কোমর ধরে পিছন দিক থেকে উনার প্যান্ট টা কেউ একজন জোর করে টেনে নামিয়ে দিচ্ছে। তদ্রুপ একজন মুসলিম ভাই কতোটা বিকৃত মস্তিষ্কের স্বরূপ হলে মেয়েদের মত 'কানে দুল' পড়তে পারে । একটু চিন্তা করে দেখুন পুরুষ জাতির জন্য তা কতোটা লজ্জাজনক ! ব্যাপারটা এমন , জন্মগত ভাবে মুসলিম কিন্তু চলাফেরা করি ইহুদী-খ্রিষ্টানদের কালচারে । ভাই আপনি-ই নিজে বিচার করুন , আপনার বর্তমান অবস্থান কোথায় ??

লজ্জা নারীর ভূষণ ;তার মানে এই নয় যে নির্লজ্জতা পুরুষের অহংকার । পুরুষের জন্যও লজ্জা ঈমানের অঙ্গ । রাস্তায় হাঁটার সময় 'বিল বোর্ডে' বেপর্দা ছবির দিকে তাকানো টাও লজ্জা! আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, 'রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পর্দানশীল কুমারী মেয়েদের চেয়েও অধিক লজ্জাশীল ছিলেন' (বুখারী হা/৩৫৬২,রিয়াযুছ ছালেহীন) । আমরা সেই রাসুল(সঃ) এর উম্মত হয়ে লজ্জাকে বরফ গলানোর মত করে আস্তে আস্তে বিসর্জন দিচ্ছি ।

যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের জীবনে রাসুল(সঃ) এর আদর্শ জাগিয়ে তুলতে পারব না , ততদিন পর্যন্ত আমরা জান্নাত কেন্দ্রিক জীবন পরিচালনা করতে পারব না । আর জান্নাত কেন্দ্রিক জীবন না হলে নিঃসন্দেহে 'জাহান্নাম'-ই আমাদের একমাত্র অবধারিত স্থান । আল্লাহ কুরানে বলেন ,
“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।“ (আল-ইমরান:৩১)

আর যারা রাসুল(সঃ) এর আদর্শ অনুস্মরণ না করে আখেরাত বিমুখী পার্থিব আদর্শকে প্রাধান্য দেই , তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন ,
“যে ব্যক্তি পার্থিব জীবন ও এর চাকচিক্য কামনা করে আমি তাদেরকে দুনিয়াতেই তাদের আমলের পূর্ণ প্রতিফল প্রদান করি এবং এখানে তাদেরকে কম দেয়া হবে না। এদেরই জন্য আখেরাতে অগ্নি ব্যতীত অন্য কিছুই নাই এবং তারা এখানে যা করে, আখেরাতে তা নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর তারা যে সব কাজ-কর্ম করে সবই নিরর্থক। [সূরা হুদ, ১৫-১৬ ]

আল্লাহ আমাদের বুঝার তওফিক দান করুন এবং আমাকে , আমাদের ক্ষমাপ্রাপ্তদের সাথে অন্তর্ভুক্ত করে সিরাতা’য়াল মুস্তাকিম দান করুন। আমিন।



11:06 AM Posted by Just for you 0

Wednesday, October 31, 2012

মানুষ কি মানুষের ‘রব’ হতে পারে? হলে কিভাবে? আপনি কি নিজের অজান্তে কোন মানুষকে ‘নিজের রব’ বানিয়ে নিয়েছেন? (পর্ব – ১)




যে শিরোনাম দিয়ে আমি লেখাটি শুরু করেছি, তা পড়ে হয়তো আপনি আশ্চর্য হচ্ছেন। আসলেই তো! মানুষ আবার মানুষের ‘রব’ হয় কিভাবে? আমরা তো
জানি ‘রব’ একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা। অথচ তিনি নিজেই বলেছেনঃ

‘‘তারা তাদের সন্ন্যাসী ও ধর্মযাজকদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে ‘রব’ বানিয়ে নিয়েছে...।’’
(সূরা তওবাহ ৯ : ৩১)

অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর নবীকে দাওয়াতী পদ্ধতি শিক্ষা দিতে গিয়েও বলেছেনঃ

‘‘বলো (হে নবী), ‘হে আহলে কিতাবেরা! এসো এমন একটি কথার ওপর আমরা একমত হই, যে ব্যাপারে তোমাদের ও আমাদের মাঝে কোন বিরোধ নেই। তা হলো আমরা আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্য কারো গোলামী করবো না, তার সাথে কাউকে শরীক করবো না এবং আমরা একে অপরকে আল্লাহর পরিবর্তে ‘রব’ বানিয়ে নেবো না।’’
(সূরা আলি ’ইমরান ৩: ৬৪)

সরাসরি কোরআনের আয়াত থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, মানুষ মানুষকে ‘রব’ বানিয়ে নেয়। যদিও কারো পক্ষে ‘রব’ হওয়া সম্ভব নয়, তাই এখানে বুঝতে হবে যে অজ্ঞতা, জ্ঞানের স্বল্পতা, একগুয়েমী কিংবা বিভিন্ন কারণে অনেক সময় মানুষ কোনো কোনো মানুষকে এমন স্থানে বসিয়ে দেয়, এমন ক্ষমতা মানুষের হাতে তুলে দেয়; যার কারণে একান্তভাবে আল্লাহর জন্য সংরক্ষিত ক্ষমতার আসনে মানুষকে বসিয়ে ‘রব’ বানিয়ে ফেলে। আর এভাবে নিজেদের কর্মকান্ডের দ্বারা তারা নিজেদের জন্য চিরকালীন জাহান্নাম কিনে নেয়। অথচ এই লোকগুলোর ভেতরে হয়তো এমন মানুষও আছে যারা নামায পড়ে, রোযা রাখে, হজ্জ্ব করে, যাকাত দেয়, দাঁড়ি আছে, একান্ত নিষ্ঠার সাথে তাসবীহ জপে, এমনকি তাহাজ্জুদ, এশরাক, আওয়াবীন নামাযও পড়ে। তাই মানুষ কিভাবে মানুষের ‘রব’ হয়ে যায়, অর্থাৎ কোন বৈশিষ্ট, গুণাবলী ও ক্ষমতা হাতে তুলে দিলে মানুষকেই রবের আসনে বসিয়ে দেয়া হয়, এ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না থাকার কারণে এই জঘন্যতম অপরাধ যদি আমরা কেউ করে বসি, তাহলে যত নেক আমলই করি না কেন তা কোনো কাজে আসবে না এবং কোনো ইবাদতই কবুল হবেনা। এ ব্যাপারে কেয়ামতের দিন কোনো ওজর ওজুহাত চলবে না, জানতাম না বলেও পার পাওয়া যাবে না। কেননা, আল্লাহ্ তা’আলা স্পষ্ট করে কোরআনে বলে দিয়েছেনঃ

‘‘(হে মানবজাতি) স্মরণ করো সেই সময়ের কথা, যখন তোমাদের ‘রব’ আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ থেকে তাদের পরবর্তী বংশধরদের বের করে এনেছেন এবং তাদেরকেই তাদের নিজেদের ব্যাপারে সাক্ষ্য রেখে বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের একমাত্র ‘রব’ নই? তারা সবাই বললো, ‘হ্যাঁ, আমরা সাক্ষ্য দিলাম (যে আপনিই আমাদের একমাত্র ‘রব’)’, এই সাক্ষ্য আমি এ জন্যই নিলাম যে, হয়তো কেয়ামতের দিন তোমরা বলে বসবে যে, আমরা আসলে বিষয়টি জানতামই না। অথবা তোমরা হয়তো বলে বসবে যে, আমরা তো দেখেছি আমাদের বাপ-দাদারা আগে থেকেই এই শের্কী কর্মকান্ড করে আসছে (সুতরাং আমরা তো অপরাধী না, কারণ) আমরা তো তাদের পরর্বতী বংশধর মাত্র। তারপরও কি তুমি পূর্ববর্তী বাতিলপন্থীদের কর্মকান্ডের কারণে আমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে?’’ (সূরা আরাফ ৭: ১৭ ২-১৭৩)

আল্লাহ্ (সুবঃ) কোরআনের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, এ ব্যাপারে কোনো অজুহাত চলবে না, জানতাম না বলেও কোন লাভ হবে না। তাই আসুন আমরা কোরআনের উপস্থাপিত বাস্তব ঘটনার আলোকে বুঝতে চেষ্টা করি কিভাবে মানুষ মানুষের ‘রব’ হয়ে যায়। কেননা কোরআনের আলোকে বুঝতে চেষ্টা করলে আমাদের জন্য বিষয়টি নির্ভুলভাবে বোঝা অনেক সহজ হয়ে যাবে। মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে একটি বিষয় জেনে নিন, কোরআনে যখন কোন ব্যক্তি বা জাতির ইতিহাস তুলে ধরা হয় তখন বুঝতে হবে ইতিহাস বা গল্প শোনানোই এখানে উদ্দেশ্য নয়, বরং ব্যক্তি কিংবা জাতি কী কাজ করেছিলো এবং এর ফলে তাদের কী পরিণতি হয়েছে তা পর্যালোচনার মাধ্যমে ঐ কাজের পুনরাবৃত্তি থেকে উম্মতে মুহাম্মদীকে সতর্ক করাই ইতিহাস তুলে ধরার উদ্দেশ্য। আর একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, কোরআনে যখনই কোন চরিত্রের উল্লেখ হবে, বুঝতে হবে এ ধরনের চরিত্র কেয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকবে।

কোরআনের আলোকে মানুষ কিভাবে মানুষের ‘রব’ হয়ে যায় তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে মানবজাতির অতীত ইতিহাসেই শুধু নয় বর্তমান বিশ্বেও অসংখ্য (মিথ্যা) রবের পদচারণা আমরা সচরাচর দেখতে পাই। তবে তারা শুধু মুখ দিয়ে বলে না যে, আমরা তোমাদের ‘রব’।

‘রব’ দাবী করা বলতে মূলতঃ কী দাবী করা হয় তা যদি আমরা সত্যিই বুঝতে চাই তাহলে কিছুক্ষণের জন্যে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে ফেরাঊনের ইতিহাসের দিকে। কারণ সে যে প্রকাশ্য নিজেকে ‘রব’ ঘোষণা করেছিলো তা কোরআন সুস্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেছেঃ

‘‘দেশবাসীকে জড় করে সে ভাষণ দিলো, অতপর সে বললো, আমিই তোমাদের সবচেয়ে বড় ‘রব’।’’ (সূরা নাযিয়াত৭৯: ২৩-২৪)

এখন কথা হলো, ফেরাঊন নিজেকে ‘রব’ বলতে কী বুঝিয়েছে? সে কি দাবী করেছিলো যে, সে আসমান যমীন সৃষ্টি করেছে, মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছে কিংবা পাহাড়-পর্বত যমীনের বুকে গেড়ে যমীনকে সে স্থিতিশীল করে রেখেছে?

না, এমন দাবী সে কখনো করেনি। সে যদি এমন দাবী করতো তাহলে তার সংগী-সাথীরাই তাকে পাগল বলে উড়িয়ে দিতো। বরং সে নিজেও বিভিন্ন পূজা-পার্বনে অংশ নিতো। তারও অনেক ধরনের ইলাহ, মাবুদ বা উপাস্য ছিলো। কোরআন থেকেই এর প্রমাণ দেখে নিনঃ

‘‘ফেরাঊনের জাতির নেতারা (ফেরাঊনকে) বললো, আপনি কি মূসা ও তার দলবলকে রাজ্যে বিপর্যয় সৃষ্টির সুযোগ দিবেন আর তারা আপনাকে ও আপনার ইলাহদের এভাবে বর্জন করে চলবে?’’ (সূরা আরাফ ৭: ১২৭ )

দেখুন আয়াত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে যে, তারও অনেক ইলাহ বা উপাস্য ছিলো। তাহলে তার ‘রব’ দাবী বলতে আসলে কী বুঝায়? রব বলে সে কী দাবী করেছিলো? আসমান-যমীন, গ্রহ-নক্ষত্র, মানব জাতিসহ কোনো সৃষ্টি জগতের স্রষ্টা বলে কেউ কোনো দিন দাবী তোলেনি। মক্কার কাফের মোশরেকরাও এসবের সৃষ্টিকর্তা যে আল্লাহ্ তা’আলা এটা সর্বান্তঃকরণে মানতো। যেমনঃ

‘‘জিজ্ঞাসা কর, ‘এই পৃথিবী এবং এর মধ্যে যারা আছে তারা কার, যদি তোমরা জানো?’ তারা বলবে ‘আল্লাহর’। বল, ‘তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?’ জিজ্ঞাসা কর, ‘কে সপ্ত আকাশ এবং মহা আরশের অধিপতি?’ তারা বলবে ‘আল্লাহ্’। বল, ‘তবুও কি তোমরা ভয় করবে না?’ জিজ্ঞাসা কর, ‘সকল কিছুর কর্তৃত্ব কার হাতে, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যার উপরে আশ্রয়দাতা নেই, যদি তোমরা জানো?’ তারা বলবে ‘আল্লাহর’। বল, ‘তবুও তোমরা কেমন করে মোহগ্রস্থ হয়ে আছো?’’’ (সূরা মু’মিনুন ২৩: ৮৪-৮৯)

এমন আরো অসংখ্য আয়াত আছে যা প্রমাণ করে যে, তারা সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা, লালনকর্তা, পালনকর্তা ও রিযিকদাতা হিসাবে আল্লাহকে মানতো, সুতরাং সমস্যাটা কোথায় ? এই বিশ্বাস থাকার পরও কেন তারা কাফের-মোশরেক, কেন তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত ? ফেরাঊন তাহলে কী দাবী করেছিলো ?

ইনশাআল্লাহ চলবে...
2:09 PM Posted by Just for you 0

Sunday, July 8, 2012

যারা পিছনে পড়ে থাকে তাদের জন্য একটি উপদেশ



তোমরা যারা আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রামকে (জিহাদকে) অবহেলা করেছ এবং সফলতার পথ হতে দূরে সরে থেকেছঃ তোমরা নিজেদেরকে আল্লাহর করুণা রহমত হতে বঞ্চিত হবার অবস্থানে নিয়ে এসেছ এবং নিজেদেরকে সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার হতে বঞ্চিত করেছ

কিসে তোমাদের পেছনে ফেলে রাখল? কেন তোমরা প্রকৃত আল্লাহ্‌র বান্দাদের সারিতে যোগদান করনি? কেন তোমরা তোমাদের জীবন অযথা সম্পদ বিসর্জনে ইতসত্মত করেছ?

নিম্নলিখিত কারণগুলোর একটি নিশ্চয় হবেঃ দীর্ঘ জীবণ কামনা; পরিবার, সম্পত্তি, বন্ধুবান্ধবের (সাথে সম্বন্ধ) আসক্তিআল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রামের (জিহাদের) আগে আরও কিছু সৎকর্ম করবার বাসনা;  সুন্দরী স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা; ক্ষমতা/পদমর্যাদা; অথবা আরামদায়ক জীবনোপকরণের প্রতি আসক্তি এছাড়া আর কিছুই তোমাদের ধরে রাখতে পারেনা; উপরে বর্ণিত কারনগুলোর কোন একটিই তোমাদেরকে আল্লাহর থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে তোমরা কি শুনতে পাওনা তোমাদের প্রতি আল্লাহর ডাক,
‘‘হে মুমিনগন! তোমাদের কি হল যে, যখন তোমাদেরকে বলা হয় -বের হও আল্লাহর পথে, তখন তোমরা মাটিতে লেগে থাক (অলস ভাবে বসে থাক) তাহলে কি তোমরা পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবনের উপর পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? বস্ত্ততঃ পার্থিব জীবনের ভোগ বিলাসতো আখিরাতের তুলনায় কিছুই নয় অতি সামান্য’’ (সূরা আত তাওবাহ ৯ঃ৩৮)

মনেযোগ দিয়ে শোন, যা কিছু তোমাদের আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রামে (জিহাদে) যাওয়া হতে বিরত রাখছে তার প্রতি কি জবাব আমি দিই তাহলে তোমরা উপলব্ধি করতে পারবে যে তোমরা (ভাল থেকে) বঞ্চিত এবং মনে রাখতে পারবে যে তোমরা নিজেরা আর শয়তান তোমাদের আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রামে (জিহাদে) যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে

. দীর্ঘ জীবন কামনা

আল্লাহ্‌র নামে বলছি, নির্ভীকতা আয়ু কমিয়ে দেয় না; আর কাপুরুষতা একে বৃদ্ধি করেনা আল্লাহ বলেন, ‘‘প্রত্যেক জাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, সুতরাং যখন সেই নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হবে, আল্লাহ তখন কাউকেই অবকাশ দিবেন না,তোমরা যা কর আল্লাহ তা সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত’’ (সূরা মুনাফিকুন ৬৩ঃ১১)

এবং তিনি আরও বলেন, ‘‘জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদগ্রহনকারী; অতঃপর তোমরা আমারই নিকট প্রত্যবির্তিত হবে’’ (সূরা আনকাবুত ২৯ঃ৫৭)

তোমরা যারা নিজেদের সাথে প্রতারনা করেছ, মনে রেখ মৃত্যুকালে তীব্র বেদনা যন্ত্রনা রয়েছে আর কিয়ামতের পর বিচার দিবসে রয়েছে প্রচন্ত ভয় তোমাদের মনে পড়ে কি, যে শহীদ এই সমস্ত কিছু থেকে মুক্তি প্রাপ্ত হয়? 
সে মুত্যুযত্রনার কিছুই অনুভব করে না- সামান্য কাঁটা ফোটার মত ব্যাথা ছাড়া প্রিয় ভাই আমার, তবে কেন এমন সুযোগ হেলায় হারানো? আর মুত্যুর পর কবরের অযাব থেকে তুমি মুক্তিলাভ করবে, কবরে ফিরেশতাদের কোন প্রশ্ন উত্তরের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না, এবং বিচারদিবসে যখন সবাই থাকবে ভীত সন্ত্রস্ত তখন তুমি থাকবে শাসত্ম স্থির মৃত্যুর পর তোমার আত্মা একটি পাখির দেহে ঢুকিয়ে দেয়া হবে যা জান্নাতে উড়ে বেড়াবে সাধারন মৃত্যু এবং শাহীদ হবার মধ্যকার পার্থকটা বুঝতে পারছ তো?

. পরিবারের সাথে সম্পৃক্ততা

যা আপনাকে জিহাদে যাওয়া থেকে বিরত রাখছে, তা যদি হয় পরিবার পরিজন, সহায় সম্পত্তি, বন্ধু বান্ধব, তবে দেখুন আল্লাহ কী বলেন, ‘‘তোমাদের ধন সম্পদ সন্তান- ন্ততি এমন কিছু হয় যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করে দিবে যারা ঈমান আনে সৎকর্ম করে তারাই তাদের কর্মের জন্য পাবে বহুগুন পুরস্কার আর তারা প্রসাদে নিরাপদ থাকবে’’ (সূরা সাবা, ৩৪ঃ৩৭)

আরও বলেন তোমরা জেনে রেখ যে, ‘‘পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া কেীতুক, জাকজমক, পারস্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন- সম্পদ সন্তান-সন্ততিতে প্রাচূর্য লাভের প্রতিযোগতা ব্যাতীত আর কিছুই নয়; ওর উপমা বৃস্টি, যদ্দারা উৎপন্ন শস্য- সম্ভার কৃষকদের চমৎকৃত করে; অতঃপর ওটা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি ওটা পীতবর্ন দেখতে পাও অবশেষে ওটা খড়কুটায় পরিনত হয় পরকালে রয়েছে কঠিন শাসিত্ম এবং আল্লাহর ক্ষমা সন্তুস্টি পার্থিব ছলনাময় ভোগ ব্যাতীত কিছুই নয়’’ (সূরা হাদীদ ৫৭ঃ২০)

রাসূলুললাহ (সা) বলেছেন, জান্নাতে চাবুকের নিচে বা পায়ের নিচের জমিটুকুও এই পৃথিবী এবং এর ভেতর যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম“ (বুখারী)

সুতরাং জান্নাতের বিশাল রাজ্য এই পার্থিব পরিবারের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে, যারা অচিরেই মৃতদের মাঝে শামিল হবে? হতে পারে এই পরিবারই আপনার প্রতি বিদ্বেষ, দূর্ব্যবহ্যর আর ঈর্ষা পোষন ,করে যদি আপনার টাকা পায়সা থাকে তবে তারা আপনাকে ভালবাসে, আর যদি আপনি দেউলিয়া হন তবে তারা আপনাকে ত্যাগ করে একদিন তারা আপনার সাথে, অন্যদিন আপনার বিরুদ্ধে অবশেষে বিচার দিবসে, তারা আপনাকে আর ঘাটবে না এবং এক পয়সা পরিমান ছাড়ও তারা আপনাকে দেবে নাএমনকি পরস্পরের জন্যও তারা আপনাকেই দায়ী করবে তারা প্রত্যেকেই সেদিন নিজেকে উদ্ধার করতে চাবে, এমনকি যদি এর বদলে আপনাকে জাহান্নামের আগুনে জলতে হয়

. সম্পদের প্রতি ভালবাসা

যদি এটাই আপনাকে আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রাম (জিহাদ) হতে বিমুক রেখে থাকে তাহলে বলতে হয়, কী করে সম্ভব যখন আপনি জানেন যে পরীক্ষামূলক এই সম্পদ আপনাকে একসময় হারাতে হবে? এবং এই সম্পদের জন্যই বিচার দিবস আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে কীভাবে এই সম্পদ গড়ে তুলেছেন? আর কীভাবে তা খরচ করেছেন? ২টি প্রশ্ন আপনাকে এমন এক দিনে জিজ্ঞাসা করা হবে যেদিন একটি বাচচাও চুল পেঁকে বুড়ো হয়ে যাবে বড়ই ভয়ংকার সে দিন

আল্লাহর রাসূল (সা) বলেছেন, দরিদ্র মুসলিমরা ধনী মুসলিমদের অর্ধদিন পূর্বেই জান্নাতে প্রবেশ করবে (যা হবে) ৫০০ বছর (এর সমান)

আল্লাহ বলেন, ‘‘তোমাদরে সম্পদ সন্তান সন্ততি তো তোমাদের জন্য পরীক্ষা; আল্লাহরই নিকটে রয়েছে মহা পুরষ্কার’’ (সূরা তাগাবুনঃ ১৫)

এরপরও কিভাবে আপনার সম্পদ আপনাকে আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রাম (জিহাদ) হতে বিরত রাখে?

. সন্তান সন্ততির প্রতি ভালবাসা এবং তাদের জন্য উদ্বিগ্র হওয়া

এর কারন কি এই যে আপনি তাদের জন্য উদ্বিগ্ন? কিন্তু আপনার চেয়ে আল্লাহই তাদের জন্য অনেক বেশী চিন্তাশীল আল্লাহ কি তাদের ব্যবস্থা করে দেননি যখন তারা অন্ধকারাচছন্ন মাতৃগর্ভে ছিল!

এমন এক সন্তান কি করে আপনাকে আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রাম (জিহাদ) হতে বিরত রাখে যখন ছোটকালেও তাকে নিয়ে আপনি চিন্তিত ছিলেন আর বড় হবার পরও তারা সুস্থ হোক বা অসুস্থ আপনি তাদের নিয়েই চিন্তা ভাবনা করেন্ আপনি তাদের অবজ্ঞা করলে তারা বিদ্রোহ বিরোধিতা করে তাদেরকে উপদেশ দিলে তারা আপনাকে ঘৃনা করে আপনার এত ভালবাসার পরও, যখন আপনি বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হন, তখন তারা আপনাকে পরিত্যাগ করে চলে যায়! এরপরও আপনি তাদের আশীর্বাদ হিসেবে দেখেন!

আপনার মন থেকে তাদের বিতাড়িত করে বের করে দিন! তাদের যিনি সৃষ্টিকর্তা তার হাতে সপে দিন ওদের আর আল্লাহর উপর ভরসা করুন তাদের সুব্যবস্থার জন্য যেমনটি নিজের জন্যও তাঁরই উপর ভরসা করেন তাদের ব্যবস্থার ব্যাপারে যদি আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করতে না পারেন তবে এটা কী করে স্বীকার করেন যে আল্লাহই এই আসমান জমীনের সব কিছুর নিয়ন্ত্রক?

আল্লাহর নামে বলছি, ওদের বা আপনার উপর যে মঙ্গল বা অমঙ্গল আপতিত হয় তার উপর আপনার কোনই হাত নেই তাদের বা আপনার নিজের জীবনের উপর আপনার কোনই নিয়ন্ত্রন নেই আপনার আয়ুর সাথে ১টি দিন যোগ করার ক্ষমতাও আপনার নেই একদিনের মধ্যেই আপনি মৃত্যুবরন করবেন এবং সন্তানদের ইয়াতীম হিসেবে রেখে যেতে হবে তখন আপনি আফসোস করবেন হায় আমার এতিমরা; আমি যদি শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারতাম! জবাব দেয়া হবেঃ এখন অনেক দেরী হয়ে গেছে আল্লাহ বলেন

‘‘হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর এবং ভয় কর সেই দিনকে যখন পিতা সন্তানের কোন উপকারে আসবে না এবং সন্তানও কোন উপকারে আসবে না তার পিতার! আল্লাহর প্রতিশ্রতি সত্য সুতরাং পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চক (শয়তান) যেন তোমাদেরকে কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে’’ (সূরা লুকমান ৩১ঃ৩৩)

এখন, আপনার সন্তান যদি সফলকামদের (জান্নাতী) অন্তর্ভুক্ত হয় তবে আপনাদের জান্নাতে পুনর্মিলিত করা হবে আর যদি সে

ক্ষতিগ্রসত্মদের অন্তর্ভুক্ত হয় তবে তার জন্য অপেক্ষা কেন? এখন থেকেই আলাদা হয়ে যান! যদি সত্যই আপনি আপনার সন্তানের জন্য উদ্বিগ্ন হন তবে শহীদ হন আপনি পরিরারে ৭০টি সদস্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে আর কীসের জন্য অপেক্ষা?

. আপনার বন্ধু বান্ধব

যদি আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব পরিচিতদের ফেলে যেতে অপারগ হন তবে বিচার দিনের কথা চিন্তা করম্নন সে দিন বন্ধু শক্রতে পরিনত হবে কেবল সৎকর্মশীলগন ব্যাতীত অতএব আপনার বন্ধুরা যদি সৎ কর্মশীল না হয় তবে তাদের সাথে আর থাকতে চেয়েন না কেননা কাল অবশ্যই তারা আপনার বিরম্নদ্ধে যাবে তবে তারা যদি সৎকর্মশীল হযে থাকে তবে আল্লাহ আপনাদের এর চেযে ভাল জায়গায় পুর্নমিলিত করবেন আল্লাহ বলেনঃ‘‘আমি তাদের অন্তর হতে ঈর্ষা দূর করব তারা ভাতৃভাবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে অবস্থান করবে’’ (সূরা হিজর ১৫ঃ৪৭)

. ক্ষমতা মর্যাদা

আপনি হয়ত  আল্লাহ্‌র বান্দাদের (মুজাহিদীনদের) সারিতে যোগ দেয়া হতে বিরত রয়েছেন কারন আপনি যে উচচপদ, ক্ষমতা মর্যাদা হাসিল করেছেন এই দুনিয়ার তা হারাতে চান না আপনি এখন যে পদে অধিষ্ঠ হয়েছেন এর আগে আর কতজন এই পদে ছিল পদ যদি তাদের ছেড়ে যেতে পারে তবে নিঃসনেদহে একদিন আপনাকেও ছেড়ে যেতে হবে আপনার ক্ষমতা সে তো অস্থায়ী আর আপনার প্রতিপত্তি মর্যাদা এসবও মানুষ শীঘ্রই ভুলে যাবে আপনার পদমর্যদা, ক্ষমতা প্রতিপত্তি আপনাকে জান্নাতের পথ হতে দূরে রাখছে জান্নাতের সর্বনিম্ন ব্যাক্তিও এই পৃথিবীর দশগুন এলাকা এবং এর অন্তর্ভূক্ত সবকিছুর অধিকারী হবে এতো কেবল জান্নাতের সর্বনিম্ন ব্যক্তির মর্যদা ক্ষমতা যা পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতা বান রাজার চেয়েও বেশি

এই পৃথিবীর কিছুই দূষণমুক্ত বা বিশুদ্ধ নয় আপনি যে সামাজিক মর্যাদার অধিকারী হয়েছেন, এটার বেশ বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে হতাশাব্যঞ্জক অনেক কিছু ক্ষমতা পদমর্যদার জন্য অপনাকে অনেক লড়াই করতে হবে এতে অনেক শত্রম্নর জন্ম হবে আর হারাতে হবে বন্ধুদের পথিমধ্যে অনেক বেদনা, অনেক ব্যর্থতা সহ্য করতে হবে আর জান্নাত সমসত্ম কিছু থেকে মুক্ত আল্লাহ বলেন, ‘স্থায়ী জান্নাত, তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের পিতা-মাতা পতি পত্নী সন্তান সন্ততিদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করেছে তারাও এবং ফেরেশতা তাদের আছে হাযির হবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে বলবে, তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করেছ বলে তোমাদের প্রতি শান্তি কতই না ভাল এই পরিনাম! (২৪) ’’ (সূরা রাদঃ ১৩)

. আরামদায়ক জীবনযাপনের প্রতি আসক্তি

হতে পারে আপনার বিশাল বাসভবনের শান্তি, বাগানের ছায়া, শয্যার আরাম, আপনার চতুর্দিকের সমস্ত আমোদ প্রমোদ, যা জীবনকে করেছে আরামদায়ক মনোরম কিন্তু মনে রাখবেন, এগুলোর কোনটিই চিরস্থায়ী নয় আপনার এই বিলাসবাহল বাড়ির ইট পাথর, চুনসুরকি দ্বারা তৈরী বাড়ি ছাড়া আর কিছুই নয় এটা যদি পরিস্কার করা না হয় তাহলে এটা নষ্ট হয়ে যাবে, আর যদি ঠিকমত রক্ষনাবেক্ষন না করা হয় তবে এটার পতন ঘটবে ঘটনাক্রমে একদিন এটাই ধুলাবালিতে পরিণত হবে যা থেকে এটা তৈরী করা হয়েছিল আপনি কি এর চেয়ে সোনা রূপার ইটের তৈরী প্রাসাদে থাকতে বেশি পছন্দ করবেন না?

এমন প্রাসাদ যা চিরস্থায়ী এবং যার কোন রক্ষনাবেক্ষনের প্রয়োজন নেই এর আসবাবপত্র পছনদীয় এবং সুবিন্যসত্ম করে সাজিয়েছে ফেরেশতারা আর এতে আপনাকে সার্বোৎবৃষ্ট খাবার পরিবেশন করবে এমন দাস-দসীরা, যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘‘তাদেরকে পরিবেশন করবে কিশোরগন, তাদেরকে দেখে মনে হবে তারা যেন বিক্ষেপ্ত মুক্তা’’

জান্নাত সবকিছুই পরিছন্ন, সবকিছুই পবিত্র সেখানে কোন প্রকৃতির ডাক বা ঘাম নেই আমাদের দেহ ভিন্ন এক রূপ নিয়ে আসবে জীবন সেখানে অসীম সেখানে সময়ের কোন চাপ নেই জান্নাতীরা যখন তখন যা ইচছা যতক্ষন খুশি ততক্ষনই করতে পারবে তারা সিংহাসনে হেলান দিয়ে ন্ত্রীর সাথে ৪০ বছর কথা বলতে পারবে আপনার এবং এত আমোদপ্রমাদের মাঝে শহীদ হওয়া ছাড়া আর কিছুই কোন বাধা নেই এই জীবনপদ্ধতির সাথে দুনিয়ার জীবনপদ্ধতির তুলনা করে দেখুন

. অধিক সৎকর্ম করার জন্য দীর্ঘায়ু কামনা

আপনি হয়ত আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রামে (জিহাদে) অংশগ্রহন করতে চাছেন না, কারন আপনি এর জন্য প্রস্তুত নন এবং আপনি আরও নেককাজ করতে চান অর্থাৎ আপনি উত্তম নিয়্যতে  আল্লাহ্‌র রাস্তাই সংগ্রাম (জিহাদ) থেকে দুরে আছেন কিন্তু শুনুন, আপনি প্রতারিত বা বঞ্চিত হচেছন আল্লাহ বলেন,
‘‘হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রম্নতি সত্য; সুতরাং পর্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে এবং সেই প্রবঞ্চনা যেন কিছুতেই আল্লাহর সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে তোমাদেরকে শয়তান তোমাদের শক্র; সুতরাং তাকে শক্র হিসেবে গ্রহন কর; সে তো তার দলবলকে আহবান করে শুধু এজন্য যে, তারা যেন জাহান্নামের সাথী হয় ’’ (সূরা ফাতির -)

এটা শয়তানের ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয় এটা আল্লাহর আউলিয়াদের (বন্ধু) পথ নয় সাহাবা এবং তাবিঈনরা কি সৎকর্মের প্রতি আপনার চেয়ে বেশি উৎসাহী ছিলেন না আপনি কি শুনেননা আল্লাহ আপনাকে বলছেন ‘‘বের হও হালকা আথবা ভারী (স্বল্প সরঞ্জামের সাথেই হোক, অথবা প্রচুর সরনঞ্জামের সাথেই হোক) এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ প্রান দ্বারা যুদ্ধ কর এটাই তোমাদের জন্য অতি উৎম, যদি তোমরা জানতে’’ (সূরা তওবা ৯ঃ৪১)

আপনিকি দেখছেন না যে, নিজেকে শুধরানোর বা আরও ভাল করবার সর্বোত্তম পন্থা হচেছ জিহাদের মাধ্যমে আল্লাহ বলেন, ‘‘আল্লাহ ধন পা্র দ্বারা জিহ দে অংশগ্রহনকারীদেরক� � গৃহে উপবিষ্টদের উপর পদমর্যাদায় গৌরবান্নিত করেছেন ... উপবিষ্টদের উপর মুজাহিদদের মহান প্রতিদানে গেীরবান্তিত করেছেন’’ (সূরা আন-নিসাঃ৯৫)

প্রকৃত অর্থে জিহাদের সমতুল্য কিছুই নেই রাসূল (সা) বলেছেন, যুদ্ধের ময়দানে সৈন্যদের সারিতে দাড়িয়ে থাকা, পরিবারের মধ্যে ৭০ বছর আল্লাহর ইবাদত করার চেয়ে উত্তম“(তিরমীজি আল- বায়হাকী আল-হাকীম)

. স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা

যদি আপনি সুনদরী স্ত্রীর কারনে জিহাদে যেতে অপারগ হন, আর আপনার তাকে যদি পৃথিবীর সর্বোৎবৃষ্ট নারী সবচেয়ে সুনদরী বলে মনে হয় তবে শুনুন, সেও কি একসময় সামান্য একটা মাংস পিন্ড ছিল? এবং একসময় সেও কি পঁচে নিঃশেষ হয়ে যাবে না? মাসিকের কারনে আপনাকে তার থেকে দূরে থাকতে হয়েছে জীবনের অনেকটা সময় সে বাধ্য হবার থেকে অবাধ্যই বেশি ছিল সে যদি নিজেকে পরিস্কার না রাখত তবে তার থেকে দুর্গন্ধ আসত যদি সে চুল না আচড়াত তবে তা অবিন্যসত্ম বা এলেমেলো হয়ে থাকত বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যে আরও কৃৎসিত হতে থাকে তাকে খুশী করা সহজ নয়, তার ভালবাসা রক্ষার্থে আপনাকে অনেক খরচ করতে হয় আপনি সবসময় তাকে খুশী করতে চান বা প্রভাবান্বিত করতে চান কিন্তু কিছুই যেন যথেষ্ট হয় না তার জন্য সে আপনাকে শুধু তখনই ভালবাসে যখন সে যা চায় আপনি তাই দেন আর যদি না দেন তবে সে আপনাকে ছেড়ে অন্য কাউকে খুঁজে নিবে যেন, ‘যদি আমাকে চাও তবে খরচ কর আমার জন্য’! সাধারন ভাবে একসাথে অবিরাম/চিরস্থায়ী দুঃখ যন্ত্রনা ছাড়া তাকে উপভোগ করা সম্ভব নয়

এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে এই নারী আপনাকে জান্নাতের নারী থেকে দূরে রাখে আলাহর নামে বলছি, শহীদের রক্ত জান্নাতে তার স্ত্রীর সাথে দেখা হবার আগে শুকায় না সে হবে সুনদর যার থাকবে বড় বড় দ্যুতিময় চোখ একজন কুমারী যেন একটি পান্না সে আর কাউকে ভালবাসেনি, বাসবেওনা কেবল আপনাকে ছাড়া সে তৈরী হয়েছে কেবল আপনারই জন্য তার একটি মাত্র আঙুলও চাঁদের ঔজ্জল্যকে হার মানবে পৃথিবীতে যদি তার হাতের কব্জিটুকুও প্রকাশ পায় তার সমসত্ম মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে সে যদি আসমান যমীনের মধ্যে আবস্থান করে তবে মধ্যবর্তী সম্পৃর্ণ এলাকা তার সুগন্ধে মৌ মৌ করবে আর যদি সে সমুদ্রের পানিতে থুথু ফেলে, তবে এর নোনা পানিও বিশুদ্ধ (খাবার) পনিতে পরিনত হবে

তার দিকে যতই তাকাবেন, সে ততই সুনদর হতে থাকবে তার সাথে যত সময় অতিবাহিত করবেন আপনি ততই তাকে ভালবাসবেন এরকম একজন নারী সম্পর্কে জেনে শুনেও তার সাথে মিলিত হবার চেষ্টা না করা কি বিবেক বুদ্ধির পরিচয় দেয়? আর যদি আপনি জানেন যে, আপনি জন নয় বরং ৭০ টি হুরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন?

মনের মধ্যে রাখুন যে, স্ত্রীকে ছেড়ে যাওয়াটা আবশ্যম্ভাবী আপনি মারা যাবেন এবং সে আপনাদের ইনশাআলাহ জান্নাতে পুনর্মিলিত হবে এবং দেখবেন যে সে, জান্নতের হুরদের চেয়ে বেশি সুনদরী আপনি তাকে পাবেন জীবনের সমসত্ম আসমেত্মাষ মূলক জিনিস হতে মুক্ত

অনেক বেশি দেরী হবার আগেই জেগে উঠুন এই দুনিয়ার কারাগার হতে নিজেকে মুক্ত করুন এবং শহীদের মর্যাদা লাভের জন্য আলাহর কাছে প্রার্থনা করুন এত অসাধারন পুরুস্কার আর আপনার মাঝে কোন কিছুকে বাঁধা হয়ে দাড়াতে দিবেন না

. আবু হুরায়েরা (রাঃ) বর্ণনা করেন রাসূলুলাহ (সাঃ) বলেছেন, শহীদের মৃত্যুযন্ত্রনা কেবল একটি পোকার হুল বিদ্ধের ব্যথার মত(AvZ wZiwghx Avb-bvmv½x Beb gvRvn, Avngv‡Z Avj-Avjevbx nvmvb)

. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহর পথে দিনের প্রথম ভাগে অথবা শেষভাগে অভিযানে বের হওয়া এই দুনিয়া এর মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম এবং যদি জান্নাতের কোন রমনী এই দুনিয়ার মানুষদের সামনে নিজেকে প্রকাশ করে, তবে এদের মধ্যকার এলাকা আলো আর সুগন্ধিতে ভরে যাবে আর তার মাথার রূমাল পর্যন্ত এই দুনিয়া এর মধ্যকার সবকিছু হতে উত্তম“ (বুখারী)

তাই হে আমার মুওয়াহিদ ভাইয়েরা! তাহলে কোন্ বিষয়টি আপনাকে জান্নাতের সুমিষ্ট স্বাধ নেয়া থেকে আটকিয়ে রেখেছে, আপনি নিজেই একটু ভেবে দেখুন!!!




মূল লেখাটি ঃ ইসলামি ব্লগস থেকে।
11:49 AM Posted by Just for you 0