২০১০ সালের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি
২০১০ সাল প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এ বছরটিও প্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ বছরে বেশ কয়েকটি সাড়া জাগানো প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এটি বছরের সাড়া জাগানো কিছু প্রযুক্তি শিরনামে ০৩-১২-২০১০ তারিখে প্রথম আলোতে প্রকাশ হয়েছিল। লিঙ্ক।আমি লেখাটির ব্লগ সংস্করন তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
২০১০ সালে গুগল তার সার্চইঞ্জিনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইনস্ট্যান্ট সার্চ। একজন ব্যবহারকারী কোনো একটি শব্দ লিখতে শুরু করলেই সার্চইঞ্জিন কাজ করা শুরু করে দেয় এবং সম্ভাব্য বিভিন্ন শব্দ বা বাক্যের পরামর্শ দিতে থাকে। ফলে এখন কোনো কিছু খুঁজতে গিয়ে পুরো নাম বা শব্দ মনে না থাকলেও চলবে। গুগল সঠিক শব্দটি বের করতে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করবে। এ ধরনের সার্চইঞ্জিন গুগলের পাশাপাশি টুইটার ও ফেসবুকও ব্যবহার করছে। আগামী প্রজন্মের সার্চইঞ্জিনের সূচনা এর মাধ্যমেই।
এ বছরে মোবাইল ফোনের প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে অ্যাপেলের আইফোন ৪। আইফোন ৪ আইফোনের চর্তুথ সংস্করণ। আইফোন ৪-এর রেটিনা ডিসপ্লে-ব্যবস্থা এটিকে মোবাইল ফোনের বাজারে শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া আইফোন ৪-এর ভিডিও কল করার ব্যবস্থা চমৎকার। এতে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ও এইচডি ভিডিও রেকর্ড করার ব্যবস্থা রয়েছে। এর হার্ডওয়্যারগুলোও অন্য স্মার্টফোনগুলোর চেয়ে শক্তিশালী, যা এটিকে ২০১০ সালের সবচেয়ে আলোচিত স্মার্টফোনের মর্যাদা দিয়েছে।
ইন্টেল এ বছরই প্রথম ৩২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির প্রসেসর তৈরি শুরু করেছে। ২০১০ ইন্টেল কোর প্রসেসর সিরিজের আওতায় এসব প্রসেসর বাজারে এসেছে। হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তির এসব প্রসেসর ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসেসরের গতি বাড়াতে বা কমাতে পারে। কোর আই সিরিজের এসব প্রসেসরের গতি গতানুগতিক প্রসেসরের প্রায় দ্বিগুণ। এসব প্রসেসরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোর মধ্যে ইনটিগ্রেটেড গ্রাফিকস প্রসেসরের মধ্যেই বসানো আছে। এই মানের প্রসেসর তৈরিতে ইন্টেলের ‘নিহালেম’ স্থাপত্যশৈলী ব্যবহার করা হয়েছে।
চীনের নতুন সুপার কম্পিউটার টিয়ানহে ১ চলতি বছরের শেষে সবাইকে চমকে দিয়েছে। এটি প্রতি সেকেন্ডে দুই হাজার ৫০০ ট্রিলিয়ন কাজ করতে পারে। এর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের ক্ষমতা ছিল এর অনেক কম (মাত্র এক হাজার ৭০০ ট্রিলিয়ন প্রতি সেকেন্ডে)। এই সুপার কম্পিউটার সুপার কম্পিউটারের বাজারকে গরম করে তুলেছে। এতে সাত হাজার গ্রাফিক্স প্রসেসর ও ১৪ হাজার ইন্টেল প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
আইপ্যাড অ্যাপেলের সর্বশেষ আর্কষণ। এ বছরের মাঝামাঝি এই ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে ছাড়া হয়। বাজারে ছাড়ার পরপরই এটি ট্যাবলেট কম্পিউটারের আগের রেকর্ডগুলো ভেঙে দেয়। আকর্ষণীয় ডিসপ্লে-ব্যবস্থা ও ব্যাটারির স্থায়িত্বকাল বেশি হওয়ায় এটি ভ্রমণকারীদের বেশি আকৃষ্ট করে। ই-বুক রিডারের আকারের এই ছোট কম্পিউটারটি এ বছরের সাড়া জাগানো প্রযুক্তিগুলোর একটি।
ফেসবুকের কল্যাণে গত কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। এখন মানুষ টিভিতে বিভিন্ন সরাসরি আয়োজন যেমন বিশ্বকাপ ফুটবল বা অস্কার পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি দেখার পাশাপাশি তাদের প্রিয় খেলোয়াড় বা তারকাদের ব্যাপারে অনলাইনে আপডেট দিতে থাকে এবং বন্ধুদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক আলোচনায় অংশ নেয়। এ বছর গবেষকেরা সামাজিক টিভি তৈরি করেছেন।এটি একই সঙ্গে টিভি দেখার কাজ করবে এবং সামাজিক যোগাযোগও রক্ষা করবে।
ত্রিমাত্রিক ভিডিও এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রেই শুধু দেখা যায়। তবে এমন যদি হয় মোবাইল ফোনের দ্বিমাত্রিক চিত্রটি হঠাৎ করে ত্রিমাত্রিক হয়ে গেল! অবাস্তব মনে হলেও এটিই এখন বাস্তব।স্যামসাং তাদের একটি স্মার্টফোনে এ বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। ডায়নামিক ডিজিটাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের জন্য এ মোবাইল সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। এ বছর মোবাইল প্রযুক্তিতে এটিই সবচেয়ে আলোচিত সংযোজন।
তাৎক্ষণিক খোঁজ
২০১০ সালে গুগল তার সার্চইঞ্জিনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইনস্ট্যান্ট সার্চ। একজন ব্যবহারকারী কোনো একটি শব্দ লিখতে শুরু করলেই সার্চইঞ্জিন কাজ করা শুরু করে দেয় এবং সম্ভাব্য বিভিন্ন শব্দ বা বাক্যের পরামর্শ দিতে থাকে। ফলে এখন কোনো কিছু খুঁজতে গিয়ে পুরো নাম বা শব্দ মনে না থাকলেও চলবে। গুগল সঠিক শব্দটি বের করতে ব্যবহারকারীকে সাহায্য করবে। এ ধরনের সার্চইঞ্জিন গুগলের পাশাপাশি টুইটার ও ফেসবুকও ব্যবহার করছে। আগামী প্রজন্মের সার্চইঞ্জিনের সূচনা এর মাধ্যমেই।
আইফোন ৪
এ বছরে মোবাইল ফোনের প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এনেছে অ্যাপেলের আইফোন ৪। আইফোন ৪ আইফোনের চর্তুথ সংস্করণ। আইফোন ৪-এর রেটিনা ডিসপ্লে-ব্যবস্থা এটিকে মোবাইল ফোনের বাজারে শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া আইফোন ৪-এর ভিডিও কল করার ব্যবস্থা চমৎকার। এতে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ও এইচডি ভিডিও রেকর্ড করার ব্যবস্থা রয়েছে। এর হার্ডওয়্যারগুলোও অন্য স্মার্টফোনগুলোর চেয়ে শক্তিশালী, যা এটিকে ২০১০ সালের সবচেয়ে আলোচিত স্মার্টফোনের মর্যাদা দিয়েছে।
ক্লাউড কম্পিউটিং
ক্লাউড কম্পিউটিং বর্তমানে কম্পিউটার ব্যবহারকারী ও প্রোগ্রামারদের জন্য অসীম পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ ও মূল্যায়নের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আর আমাজন ও গুগলের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ডেটাসেন্টারগুলো এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ব্যবহার এ বছরই অনেকখানি বেড়ে গেছে। অনেকেই এখন আর নিজের পারসোনাল কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণ না করে ক্লাউড সার্ভার ব্যবহার করে। ফলে তথ্য নষ্ট হওয়ার সমস্যার সমাধান যেমন হয়েছে, তেমনি মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য যেকোনো জায়গা থেকে প্রবেশ করতে এবং তা ব্যবহার করতে পারে। গান শোনা থেকে শুরু করে হিসাব-নিকাশ, অফিস গুচ্ছ সফটওয়্যার সবকিছুই এখন ক্লাউড সার্ভারে ব্যবহার করা যায়।ক্লাউড কম্পটিং এর প্রক্রিয়া
৩২ ন্যানোমিটার প্রসেসর
ইন্টেল এ বছরই প্রথম ৩২ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির প্রসেসর তৈরি শুরু করেছে। ২০১০ ইন্টেল কোর প্রসেসর সিরিজের আওতায় এসব প্রসেসর বাজারে এসেছে। হাইপার থ্রেডিং প্রযুক্তির এসব প্রসেসর ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রসেসরের গতি বাড়াতে বা কমাতে পারে। কোর আই সিরিজের এসব প্রসেসরের গতি গতানুগতিক প্রসেসরের প্রায় দ্বিগুণ। এসব প্রসেসরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এগুলোর মধ্যে ইনটিগ্রেটেড গ্রাফিকস প্রসেসরের মধ্যেই বসানো আছে। এই মানের প্রসেসর তৈরিতে ইন্টেলের ‘নিহালেম’ স্থাপত্যশৈলী ব্যবহার করা হয়েছে।
সুপার কম্পিউটার টিয়ানহে ১
চীনের নতুন সুপার কম্পিউটার টিয়ানহে ১ চলতি বছরের শেষে সবাইকে চমকে দিয়েছে। এটি প্রতি সেকেন্ডে দুই হাজার ৫০০ ট্রিলিয়ন কাজ করতে পারে। এর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটারের ক্ষমতা ছিল এর অনেক কম (মাত্র এক হাজার ৭০০ ট্রিলিয়ন প্রতি সেকেন্ডে)। এই সুপার কম্পিউটার সুপার কম্পিউটারের বাজারকে গরম করে তুলেছে। এতে সাত হাজার গ্রাফিক্স প্রসেসর ও ১৪ হাজার ইন্টেল প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
আইপ্যাড
আইপ্যাড অ্যাপেলের সর্বশেষ আর্কষণ। এ বছরের মাঝামাঝি এই ট্যাবলেট কম্পিউটার বাজারে ছাড়া হয়। বাজারে ছাড়ার পরপরই এটি ট্যাবলেট কম্পিউটারের আগের রেকর্ডগুলো ভেঙে দেয়। আকর্ষণীয় ডিসপ্লে-ব্যবস্থা ও ব্যাটারির স্থায়িত্বকাল বেশি হওয়ায় এটি ভ্রমণকারীদের বেশি আকৃষ্ট করে। ই-বুক রিডারের আকারের এই ছোট কম্পিউটারটি এ বছরের সাড়া জাগানো প্রযুক্তিগুলোর একটি।
সামাজিক টিভি (সোশ্যাল টিভি)
ফেসবুকের কল্যাণে গত কয়েক বছরে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। এখন মানুষ টিভিতে বিভিন্ন সরাসরি আয়োজন যেমন বিশ্বকাপ ফুটবল বা অস্কার পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি দেখার পাশাপাশি তাদের প্রিয় খেলোয়াড় বা তারকাদের ব্যাপারে অনলাইনে আপডেট দিতে থাকে এবং বন্ধুদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক আলোচনায় অংশ নেয়। এ বছর গবেষকেরা সামাজিক টিভি তৈরি করেছেন।এটি একই সঙ্গে টিভি দেখার কাজ করবে এবং সামাজিক যোগাযোগও রক্ষা করবে।
মোবাইল থ্রিডি
ত্রিমাত্রিক ভিডিও এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রেই শুধু দেখা যায়। তবে এমন যদি হয় মোবাইল ফোনের দ্বিমাত্রিক চিত্রটি হঠাৎ করে ত্রিমাত্রিক হয়ে গেল! অবাস্তব মনে হলেও এটিই এখন বাস্তব।স্যামসাং তাদের একটি স্মার্টফোনে এ বৈশিষ্ট্য দেখিয়েছে। ডায়নামিক ডিজিটাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের জন্য এ মোবাইল সফটওয়্যারটি তৈরি করেছে। এ বছর মোবাইল প্রযুক্তিতে এটিই সবচেয়ে আলোচিত সংযোজন।
0 comments:
Post a Comment